ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া থানায়ও অভিযোগের পাহাড় ছিল তার বিরুদ্ধে

প্রধান অভিযুক্ত এসআই নূরে ছিদ্দিকী পুলিশের ‘পুরান পাপী’!

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার শহরে নারীর বসতবাড়িতে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকী পুলিশের একজন ‘পুরান পাপী। মেজর (অব.) সিনহা হত্যা ইস্যুতে কক্সবাজার থেকে একযোগে সব পুলিশ সদস্য বদলী হলেও অদৃশ্য কারণে কক্সবাজারেই রয়ে যান এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকী। কিন্তু কী করে এমন ‘ঘূর্ণিঝড়ে’ও তিনি টিকে ছিলেন; তা নিয়ে বিস্মিত খোদ পুলিশ সদস্যরাও।
সোমবার বিকালে শহরের সমিতিপাড়ায় এক নারীর বসতবাড়ীতে ঢুকে তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকীসহ তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে। গ্রেফতার অপর পুলিশ সদস্যদ্বয় হলেন- কনস্টেবল আমিনুল মমিন ও মামুন মোল্লা। তিনজনই কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস দুঃখের সঙ্গে বলেন, জেলা পুলিশ চমৎকার সমন্বয় ও চেইন অব কমান্ডের সাথে কাজ করে যাচ্ছিল। নুর-ই খোদা সিদ্দিকী নামের এই ‘পুরান পাপি’ কেমনে রয়েছে গেল, জানলাম না। জঘন্য মানুষটা আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিল!
ওসি জানান, এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকী ইতোপূর্বে চকরিয়া থানায় এবং তার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবিতে ছিল। ওখানেও তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ ছিল।

পুলিশ সূত্রের মতে, অপরাধীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে টাকা কামাই করার সব পথ জানা ছিল এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকীর। আর অবৈধ আয়ে প্রভাবশালীদের বশে আনতেন তিনি। এদের কাজে লাগিয়ে ভাল ভাল পোস্টিংও বাগিয়ে নিতেন। কিন্তু যেখানেই যেতেন দূর্নামের ‘বোঝা’ নিয়ে ফিরে আসতেন। আর এ কারণে পুলিশ বিভাগে তিনি একজন ‘পুরান পাপী’ হিসাবে পরিচিত।

সূত্র জানায়, এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকী কয়েকদিন আগে চকরিয়া থানা থেকে বদলী হয়ে কক্সবাজার শহর ফাঁড়িতে যোগদান করেন।
চকরিয়া থানায় থাকাকালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় ছিল। তবে পুলিশী হয়রানির ভয়ে ভুক্তভোগীরা আগে অভিযোগ দেওয়ার সাহস না করলেও তাকে গ্রেফতারের পর মুখ খুলতে শুরু করেছে হয়রানির শিকার লোকজন।

পাঠকের মতামত: